প্রিপেইড মিটার আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। কিন্তু এখনো এর ব্যবহার এর পরিমান স্বাভাবিক না হওয়ায় এর কিছু জটিলতা থেকে যাই। তবে Prepaid meter এর কিছু বিষয় অনেকের কাছে বিরক্তির কারন হয়ে থাকে। এক কথায় এটি নতুন হওয়াতে অনেকের কাছে জটিল বলে মনে হয়। তাই এর কিছু সমস্যার সমাধান হতে পারে এর ব্যবহারের সহজ একটি পথ।
বিপিডিবি এর এই digital meter ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তখন এই সমস্যা গুলোর সমাধান দরকার হয়ে পড়ে। তবে অনেকেই এই সমস্যা গুলোর কার্যকর সমাধান পান না। যার ফলে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করছি যা আপনাকে এই প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যতা দিবে। এখানে আপনাকে একটা কথা বলে রাখি। প্রিপেইড মিটারে যে সকল দরকারি কোড আছে এগুলো সম্পর্কেও আপনার ধারণা থাকা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিডিবি প্রিপেইড মিটারের কোন হেল্পলাইন নাম্বার আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, বিপিডিবি তথা প্রিপেইড মিটারে জন্য হেল্পলাইন নাম্বার আছে। BPDB helpline number হলো ১৬২০০। জরুরি প্রয়োজনে এই নাম্বারে কল দিয়ে আপনি আপনার সমস্যার কথা তাদের জানাতে পারবেন এবং সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।
প্রশ্ন: আমার রিচার্জ সম্পন্ন হয়েছে কিনা কিবাবে বুঝব?
উত্তর: আপনি যখনি প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করবেন তখন উক্ত রিচার্জ সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা দেখে নেয়া উচিৎ। এর জন্য আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনার রিচার্জের টোকেন নং বা সিরিয়াল নং। আপনি রিচার্জ করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিবেন সেই মোবাইল নাম্বারে একটি মেসেজ আসবে। ওই মেসেজের মধ্যে আপনার রিচার্জের টোকেন নাম্বার থাকবে। “SquNo:15” সিরিয়াল নংটি দেখতে এরকম হবে। এখানে আমি 15 দিয়েছি।তার মানে আমার রিচার্জ এর সিরিয়াল নং ১৫।
এখন আপনার এই রিচার্জটি মিটারের সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য আপনার মিটার থেকে ডায়াল করুন ৮৮৯। এতে করে আপনি আপনার মিটারের লোড হওয়া বর্তমান টোকেন নাম্বার জানতে পারবেন। যদি আপনার মিটারে টোকেন নাম্বার ১৪ দেখায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার 15 নং অর্থাৎ নতুন রিচার্জটি মিটারে লোড হয়নি। তাই আপনাকে ২০ ডিজিটের টোকেন কোড ডায়াল করে আবার রিচার্জ করে নিতে হবে। মিটারে টাকা রিচার্জ করার সময় আপনার নাম্বারে যে মেসেজটি এসেছে ওই মেসেজে রয়েছে উক্ত ২০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার।
প্রশ্ন: মিটার লক হয়ে গেলে করনীয় কি?
উত্তর: যদি কোন কারণে আপনার মিটার লক হয়ে যায় তাহলে আপনাকে নিকটস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ অর্থাৎ বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তারপর উক্ত বিদ্যুৎ বিভাগের মানুষ এসে আপনার মিটার আনলক করে দিবে।
প্রশ্ন: মিটারে কিলোওয়াট কিভাবে বাড়াতে হবে?
উত্তর: আপনি যদি আপনার মিটারের কিলোওয়াট বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে আপনার নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তাদেরকে জানানোর দুই/একদিনের মধ্যে আপনার মিটার এক কিলোওয়াট বেড়ে যাবে। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন। কিলোওয়াট বাড়ালে আপনার চার্জের পরিমাণ বাড়তে পারে।
প্রশ্ন: মিটার কেন লক হয়ে যায়?
উত্তর: মিটার লক হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আপনার মিটারের যতটুকু লোড সক্ষমতা রয়েছে তার বেশি লোড হলে, আপনি যদি মিটারের কোন ধরনের জালিয়াতি বা অবৈধ সংযোগ স্থাপন করতে চান তাহলে বা অন্যান্য যেকোনো কারণে মিটার লক হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রিপেইড মিটারে কিভাবে চার্জ কাটা হয়?
উত্তর: আপনার ব্যবহৃত প্রিপেইড মিটারটির জন্য প্রতি মাসে মিটার ভাড়া ৪০ টাকা(মিটার যদি এক ফেইসের হয়), প্রতি কিলোওয়াট ৪২ টাকা করে আপনার মিটারের যত কিলো থাকবে তা অনুযায়ী ডিমান্ড চার্জ, এবং আপনার রিচার্জ এর উপর ৪.৭৬২% হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। ধরুন, আপনার মিটারের লোড হল ২ কিলোওয়াট এবং আপনি ১০০০ টাকার রিচার্জ করেছেন। এখানে আপনার থেকে মিটার চার্জ ৪০ টাকা + ডিমান্ড চার্জ ৮৪ টাকা + ভ্যাট ৪৭.৬২ টাকা সহ মোট ১৭১.৬২ টাকা চার্জ কাটা হবে। এখানে, ডিমান্ড চার্জ ও মিটার চার্জ মাসে একবার কাটবে। কিন্তু ভ্যাট রিচার্জ এমাউন্টের উপর নির্ভর করবে।
বর্তমানে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করতে গেলে উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো অনেকেই কমবেশি ভুগে থাকে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পর আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। এই লিস্টে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা আপডেট করে দিব। তাই পোস্টটি পরবর্তী সময়ের জন্য সেভ করে রাখতে পারেন।