বিকাশ বর্তমান সময়ের জন্য জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এই সেবা ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট এসব সেবার মধ্যে অন্যতম। অর্থাৎ স্টুডেন্ট বা শিক্ষার্থীরাও এখন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে তারাও আর্থিক লেনদেনের অংশীদার হতে পারবে। যা আগে ছিল না। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে bKash Student Account খোলা যায় এবং এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে।
bkash হল ব্র্যাক ব্যাংকের একটি সেবা। এই সেবা ব্যবহার করে আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল রিচার্জ, মিটার রিচার্জ, পেমেন্ট, সেন্ড মানি, ক্যাশ আউটসহ বিভিন্ন লেনদেন করে থাকি। যার ফলে আমাদের দৈনন্দিন কাজ হয়েছে অনেক সহজ। এই বিকাশের নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। যার জন্য এই বিকাশ সেবাটি দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে এই bkash app এর মাধ্যমে। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও এর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ব্যাপক হারে। এছাড়াও যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য bKash live chat তো আছেই।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিষয়
যদিও আগে ১৮ বছরের নিচে কেউ বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারত না। কিন্তু এখন এটা আর হচ্ছে না। অর্থাৎ এখন ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী সকলেই নিজের নামে বিকাশ একাউন্ট খুলে বিকাশ ব্যবহার করতে পারবেন। আবার কোন সমস্যা হলে বিকাশ লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে সমাধান করে নিতে পারবেন। যা সত্যিই চমৎকার একটি বিষয়। এছাড়াও বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট করেই একজন স্টুডেন্ট একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যাকাউন্ট তৈরির বোনাস পাবেন। যা নিচে আলোচনা করা হবে। এই bkash student account করতে গেলে আপনাকে কয়েকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। নিচে এই বিষয়গুলো আমি তুলে ধরলাম।
- যার নামে বিকাশ খুলবে তাকে অবশ্যই ১৪ থেকে ১৮ তথা ১৭ বছর ১১ মাস ৩০ দিন বয়সী হতে হবে।
- উক্ত শিক্ষার্থীর ডিজিটাল জন্ম সনদ
- উক্ত স্টুডেন্টের পিতা বা মাতার অবশ্যই বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
- স্টুডেন্টের পিতা-মাতার সম্মতি থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আরেকটু আলোচনা নিচে করা হয়েছে।
- উক্ত স্টুডেন্টের মোবাইল নাম্বারটি অবশ্যই যে মোবাইল দিয়ে বিকাশ চালু করবেন ওই ফোনের মধ্যে লাগানো থাকতে হবে।
- শিক্ষার্থীর বাবা বা মায়ের বিকাশ আছে এমন একটি নাম্বার থাকতে হবে। উক্ত নাম্বারটিও সচ্ছল অবস্থায় থাকতে হবে।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম – Bkash Student Account
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। খুব সহজ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে আপনি মুহুর্তের মধ্যে একটি বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। আপনি চাইলে পার্শ্ববর্তী কোন bKash Agent মাধ্যমে এই একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে কিভাবে বিকাশ শিক্ষার্থী একাউন্ট খোলা যায় তার উপায় বলে দিচ্ছি। আশা করি পোস্টটি পড়ার পর আপনাকে কারো কাছে যেতে হবে না। নিজে নিজেই সব করে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করি।
বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল
প্রথমে আপনার ফোনের প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করা হয়ে গেলে বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করুন। bKash app প্রথমবার ওপেন করতে গেলে হয়তো অনেকগুলো পারমিশন চাইতে পারে। আপনাকে উক্ত পারমিশন গুলো চালু করে দিতে হবে। সাধারণত প্রতিটি অ্যাপস প্রথমবার চালু করলে অ্যাপস টি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য কিছু পারমিশন দিতে হয়। তাই আপনি এই কাজটি করে দিন।
রেজিস্টার প্রক্রিয়া শুরুকরণ
অ্যাপটি ওপেন করে যখন সকল পারমিশন অন করে দিবেন তখন আপনি “লগইন/রেজিস্টার” একটি বাটন দেখতে পাবেন। এই বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জন্য একটি অপশন পাবেন।
মোবাইল নাম্বার দেয়া
এবার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জায়গায় আপনার নাম্বারটি লিখে দিন। এখানে আপনার নাম্বারটি শূন্য থেকে শুরু করে লিখবেন। অর্থাৎ ০১২৩৪৫৬৭৮৯ ঠিক এভাবে করে। তারপর নিচে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। তারপর একটা ডায়লগ বক্স এর মাধ্যমে দেখাবে আপনার সিমটি কোন কোম্পানির। অর্থাৎ আপনার সিমটা যদি রবি হয়ে থাকে তাহলে রবিতে ক্লিক করুন।
পিন ভেরিফাই
এবার আপনার সিমে একটি পিন পাঠানো হবে। যেহেতু সিমটি আপনার ফোনে লাগানো আছে তাই এই পিনটি অটোমেটিক বিকাশ অ্যাপ এ যুক্ত হয়ে যাবে।
NID বা জন্ম সনদ নির্বাচন
উক্ত পিন ভেরিফাই হওয়ার পর আপনাকে দুটি অপশন দেখাবে। একটি হলো জাতীয় পরিচয় পত্র যা দিয়ে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের জন্য। অন্যটি হলো জন্ম সনদ যা ১৪ থেকে ১৮ বছর অর্থাৎ স্টুডেন্টদের জন্য। আপনি এই অপশনটি সিলেক্ট করুন।
শর্ত সম্মতিকরণ
এবার আপনাকে বিকাশের কিছু শর্ত দেওয়া হবে। এখানে তেমন কোন কাজ নেই। শুধুমাত্র নিচে সম্মতি আছে এই বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান।
যাচাইকরণ তথ্য
এবার ওরা আপনার থেকে তিনটি তথ্য চাইবে। ওই তথ্য মোতাবেক কাজ করতে হবে। একটি হলো জন্ম সনদ এর ছবি তোলা। দ্বিতীয়ত, মা-বাবার তথ্য দেওয়া। শেষের তথ্যটি হল স্টুডেন্টের ছবি তোলা। এবার নিচে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
জন্ম সনদের ছবি আপলোড
উপরের ধাপের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর অটোমেটিক আপনার মোবাইলের ক্যামেরাটি অন হয়ে যাবে। এবার আপনার ডিজিটাল জন্ম সনদটির ছবি তুলুন। একটা জিনিস খেয়াল করবেন জন্ম সনদটি যাতে এমন জায়গায় রাখার হয় যেখানে পর্যাপ্ত আলো আছে। এতে করে সকল তথ্য স্পষ্ঠভাবে আপনার ক্যামেরায় উঠে আসবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। যদি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে না উঠে তাহলে আবার তুলুন বাটনে ক্লিক করে পুনরায় ছবি তুলে নিন।
জন্ম সনদের তথ্য নিশ্চিতকরণ
সাবমিট দেওয়ার পর অনেক সময় আপনার নাম ইংরেজিতে, জন্মতারিখ অটোমেটিক সেট নাও হতে পারে।এতে টেনশনের কিছু নেই । আপনি নিজেই ম্যানুয়ালি এগুলো লিখে দিন। তারপর নিচে আপনার যে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি দেখাবে ওটি ঠিক আছে কিনা যাচাই করে দেখুন। অনেক সময় এখানে দুই একটা ডিজিট কম আসতে পারে। আপনাকে অবশ্যই এটি সঠিকভাবে দিতে হবে নয়তো আপনার বিকাশ একাউন্ট হবে না। এবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
অন্যান্য তথ্য সাবমিট
এই ধাপে আপনাকে আরো কিছু তথ্য দিতে হতে পারে। প্রথমে যেটা থাকবে এটি হলো লিঙ্গ, তারপর হলো আই এর উৎস। এখানে আইয়ের উৎস এর জায়গায় অটোমেটিক্যালি “অভিভাবকের উপর নির্ভরশীল” দেয়া থাকে। আপনি চাইলে এটি রেখে দিতে পারেন। আনুমানিক মাসিক আয় এই ঘরের মধ্যে অটোমেটিক্যালি পাঁচ হাজারের নিচে দেয়া থাকে। এটাও এতোটুকুতে রেখে দিন। তারপর নিচে পেশা সিলেক্ট করুন। যেহেতু আপনি একজন শিক্ষার্থী সেহেতু পেশার জায়গায় শিক্ষার্থী সিলেক্ট করে দিন। তারপর নিচে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিন।
অভিভাবকের বিকাশ তথ্য প্রদাণ
এবার আপনাকে আপনার বাবা বা মায়ের একটি বিকাশ নাম্বার দিতে হবে। প্রথমে আপনাকে সম্পর্ক এর ঘরে বাবা বা মা সিলেক্ট করে দিতে হবে। তারপর বাবা বা মা এর নাম দিতে হবে। তারপর আপনি যাকে সিলেক্ট করেছেন তার বিকাশ নাম্বারটি দিতে হবে। এখানে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন আপনি যে নাম দিয়েছেন ওই নামটি যাতে উক্ত বিকাশ নাম্বারের সাথে মিল থাকে। ধরুন আপনি মা সিলেক্ট করেছেন। কিন্তু নাম দিয়েছেন বাবার বা অন্য কারো অথবা নাম্বারটি অন্য কারো দিয়েছেন। তাহলে কিন্তু আপনার বিকাশ চালু হবে না। এখানে যার তথ্যই দিন না কেন আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। তারপর নিচে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ছবি আপলোড
এই ধাপে আপনি আপনার ছবি তোলার জন্য অপশন দেখতে পাবেন। অর্থাৎ আপনার ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে। এবার এই ক্যামেরার সামনে আপনাকে আসতে হবে। এখানে আপনার ফেস্টি ভালোমতো দেখা যায় মত সেলফি এর মতো করে একটি ছবি তুলতে হবে। এখানে আপনাকে একটা কথা বলে রাখি। আপনি যদি স্থির ভাবে ক্যামেরার সামনে থাকেন তাহলে হয়তো বা ছবিটি সঠিকভাবে লোড নাও হতে পারে। এর জন্য আপনি চাইলে একটু হালকা করে মাথাটা একটু যা নাড়া দিতে পারেন বা চোখের পলক ফেলতে পারেন। এতে করে আপনার ছবিটি ক্যামেরার মধ্যে ভালোভাবে ধারণ হবে। এবার নিচে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
তথ্য যাচাই ও আবেদন সাবমিট
এবার আপনি যে তথ্যগুলো দিয়েছেন তা যে সঠিক এর জন্য আপনাকে তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য এই ধাপে এসে নিচে থাকা নিশ্চিত করুন বাটনে ক্লিক করুন। এবার একটু সময় নিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট হয়ে যাবে। এতক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
অভিভাবকের সম্মতি ও ভেরিফিকেশন
এবার আপনাকে আপনার বাবা বা মায়ের সম্মতির জন্য একটি অপশন দিবে। এখানে আপনি নিচে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এখানে বাবা বা মায়ের সম্মতি বলতে বুঝাচ্ছে আপনি যার নাম্বার ব্যবহার করেছেন ওই নাম্বারে যে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে তা আপনার এখানে ব্যবহার করার অনুমতি। এবার কোডটি দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। আপনি যদি আপনার বাবা বা মায়ের বিকাশ সিমটি আগে থেকেই আপনার মোবাইলে লাগিয়ে রাখেন তাহলে আপনার কাজটি সহজ হয়ে যাবে। কারণ সিম ওই মোবাইলে লাগানো থাকলে কোটি অটোমেটিক বিকাশ অ্যাপ এ সেট হয়ে যায়। উক্ত ভেরিফিকেশন কোড দেওয়ার পরপরই আপনার ভেরিফিকেশন কাজ শেষ হয়ে যাবে।
পিন নাম্বার সেট করা
এই ধাপে আপনার কাজ হল বিকাশের জন্য একটি পিন সিলেক্ট করা। এর জন্য আপনি দেখবেন আপনার বিকাশ অ্যাপ টি অটোমেটিক আপনাকে আরেকটি পেইজে নিয়ে যাবে। এখানে আপনাকে পিন একটি অপশন দিবে। এখানে আপনাকে ৫ ডিজিটের একটি পিন দিতে হবে। তারপর নিশ্চিত করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার কাজ এতোটুকুতেই শেষ। হয়ে গেল আপনার বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার কাজ। এবার আপনি বিকাশ লগইন করার জন্য একটি পেজ পাবেন। এখানে আপনার মোবাইল নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে লগইন করে নিন। লগইন করার পর আপনি চাইলে আপনার নাম ও ছবি সেট করে নিতে পারবেন। এবার আপনি বিকাশ অ্যাপ এর ইন্টারফেস দেখতে পাবেন এবং এখান থেকে সবকিছু করে নিতে পারবেন।
এভাবে আপনি একটি bkash student account করার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। যদিও এখানে ধাপ অনেকগুলো মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো খুব সহজ কিছু কাজ। আপনি যখনই করতে যাবেন তখন সহজে এগুলো করে নিতে পারবেন। আপনাকে বোঝানোর স্বার্থে এই পোস্টটি বড় করা হয়েছে। এই কাজগুলো করতে আপনার সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে। তাই পোস্টটি পড়ে ঠান্ডা মাথায় কাজগুলো করে নিন।
bKash Student Account ট্রানজেকশন লিমিট
এবার আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টে ট্রানজেকশন লিমিট নিয়ে। সাধারণত বিকাশে ট্রানজেকশন লিমিট থাকে। এই লিমিটটা সকল অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই আপনার স্টুডেন্ট একাউন্টের এই লিমিট গুলো সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা উচিত।
প্রথমে জেনে নিব দৈনিক লিমিট। আপনি একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচবার মোট পাঁচ হাজার টাকা সেন্ড মানি করতে পারবেন। দৈনিক ৫০ বার মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। দৈনিক ক্যাশ আউট পাঁচবারে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা এবং পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বারে ৫০০০ টাকা পরিমাণ করতে পারবেন।
এবার আসুন bkash student account limit এর মাসিক লিমিটেশনের ক্ষেত্রে। আপনার স্টুডেন্ট একাউন্ট থেকে মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ১৫০০০ টাকা সেন্ড মানি করতে পারবেন, সর্বোচ্চ ১০০ বারে পাঁচ হাজার টাকা রিচার্জ করতে পারবেন, সর্বোচ্চ ১০ বারে ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ১০ বারে ১২ হাজার টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।
আপনার বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য কিছু টিপস
আপনার বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টে হয়ে গেল। এবার এই বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে কিছু টিপস আপনাকে বলে রাখি। প্রথমত আপনার বিকাশ এর পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। আপনার বিকাশ একাউন্ট অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দিবেন না। আপনি চাইলে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে কিছু টাকার সঞ্চয় করতে পারেন। এছাড়াও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করতে পারবেন।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট এর বোনাস
বর্তমানে আপনি বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট করার পরেই ১৩০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাবেন। তবে এর একটি শর্ত রয়েছে। আপনি যখনই অ্যাকাউন্ট করা কমপ্লিট করবেন তখন সাথে সাথে ২৫ টাকা আপনাকে বোনাস দিয়ে দেয়া হবে। প্রথমবার লগইন করে যে কোন নাম্বারে যেকোনো পরিমাণ এমাউন্ট রিচার্জ করলে সাথে সাথে আরো ২৫ টাকা বোনাস পেয়ে যাবেন। এছাড়াও প্রথম মাসে ৫০ টাকা বা তার বেশি রিচার্জে আপনি পাবেন ১৫ টাকা বোনাস। ১০০ টাকা বা তার বেশি পেমেন্ট করলে পাবেন ১০ টাকা বোনাস। ১০০ টাকা বা তার বেশি সেন্ড মানি করলে পাবেন ১৫ টাকা বোনাস। এখানে মোট ৪০ টাকা বোনাস পাবেন প্রথম মাসে। পরের মাসেও ঠিক একই কাজ করলে আপনি আরো ৪০ টাকা বোনাস পাবেন। তাহলে হয়ে গেল আপনার১৩০ টাকা বোনাস।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
এই বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। অনেকেই এই বিষয় সম্পর্কে জানা না বিধায় এ প্রশ্নগুলো তৈরি হয়। এখন আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর এখানে দিয়ে দিচ্ছি। আশা করি আপনার কাজে আসবে।
প্রশ্ন: বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর: এটি সাধারণত ১৮ বছর এর কম বয়সি অর্থাৎ ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। এই একাউন্টে সাধারণ বিকাশ একাউন্ট থেকে কিছু সুযোগ-সুবিধা কম রয়েছে।
প্রশ্ন: বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
উত্তর: বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট করার জন্য শুধুমাত্র ডিজিটাল জন্ম সনা দিয়ে প্রয়োজন হবে। এর বাইরে আর কিছু দরকার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বাইরে স্টুডেন্ট একাউন্ট করা যাবে কিনা?
উত্তর: বাংলাদেশের বাইরে থেকে স্টুডেন্ট একাউন্ট করা যাবে না।
প্রশ্ন: বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টে কোন নমিনি যোগ করা যায় কিনা?
উত্তর: একটি বিকাশ শিক্ষার্থী অ্যাকাউন্ট করার সময় বাবা বা মা যার বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করা হয় তাকেই নমিনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই নতুন করে কোন নমিনি যোগ করার সুযোগ নেই।
প্রশ্ন: ১৮ বছরের বেশি বয়সী কোন ব্যক্তি স্টুডেন্ট একাউন্ট করতে পারবে কিনা?
উত্তর: না, এক্ষেত্রে তিনি তার আইডি কার্ড ব্যবহার করে সাধারণ বিকাশ একাউন্ট করতে পারবেন।
প্রশ্ন: বাবা বা মা সর্বোচ্চ কয়টি স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য সম্মতি দিতে পারবেন?
উত্তর: ৩ টি
প্রশ্ন: বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট করার ক্ষেত্রে কোন চার্জ আছে কি?
উত্তর: বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট করার ক্ষেত্রে কোনো চার্জ নেই।
প্রশ্ন: বাবা মা কি সন্তানের স্টুডেন্ট একাউন্টে টাকা লেনদেন করতে পারবেন?
উত্তর: না তিনি তা করতে পারেন না। তবে উক্ত স্টুডেন্ট একাউন্টে স্টেটমেন্ট তার নিজের বিকাশ অ্যাপ থেকে দেখতে পাবেন।
আরো জানতে বিকাশ এর অফিসিয়াল লিংক: bkash student account FAQs
পরিশেষে আমরা বলতে পারি, বর্তমান প্রগতিশীল ও প্রযুক্তির যুগে বিকাশ একাউন্টের ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু আর্থিক লেনদেনের জন্য বিকাশ অনেক জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সেহেতু প্রত্যেকের একটি bkash account থাকা জরুরী। যদিও আগে এই বিকাশ একাউন্টটি শুধুমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সী লোকের জন্য ছিল। তবে এখন ১৮ বছর বয়সে নিচে জনগোষ্ঠীর জন্য এটি চালু করার সুযোগ থাকায় অনেকেই এর সুফল ভোগ করবেন। আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে সকল ধারণা সম্পর্কে আপনি অবগত হতে পেরেছেন।